গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অঙ্গীকার। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) গ্রামীণ জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচন ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দ্বি-স্তর সমবায় তথা কুমিল্লা পদ্ধতির সমবায় ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দীর্ঘ ৪০ বছর যাবৎ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন সেবা প্রদান করে আসছে। বিআরডিবি’র কার্যক্রমের অন্যতম কৌশল হলো পল্লী অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারী কৃষক, বিত্তহীন পুরুষ ও মহিলাদেরকে সমবায় সমিতি এবং অনানুষ্ঠানিক দলের মাধ্যমে সংগঠিত করে পুঁজি গঠন, আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ডে প্রশিক্ষণ প্রদান, আর্থিক স্বাবলম্বী ও স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে টেকসই প্রযুক্তি হস্তান্তর, উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ সাধন ইত্যাদি।
বিআরডিবি সত্তরের দশক থেকে দেশের পল্লী অঞ্চলে প্রাথমিকভাবে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট কৃষক সমবায় সমিতির মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে সময়ের প্রয়োজনে দ্বি-স্তর সমবায়ের পাশাপাশি অনানুষ্ঠানিক দলীয় কার্যক্রম চালু করে। একই সাথে বিআরডিবি ব্যাংক অর্থায়িত কৃষি ঋণের পাশাপাশি সরকারের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি চালু করে। বিআরডিবি বর্তমানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণে দেশের সর্ববৃহৎ সরকারি প্রতিষ্ঠান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস